হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী গবেষণায় আলোচিত গ্রন্থ ‘রূহুল মাআনী’–এর ব্যাখ্যাকার আলুসী তাঁর তাফসিরের তৃতীয় খণ্ডের ১৫৫ পৃষ্ঠায় হযরত ফাতিমা (সা.)-এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে বিশেষ মত প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষ্যে, হযরত ফাতিমা (সা.) অতীত ও ভবিষ্যতের সকল নারীর তুলনায় সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
আলুসী লিখেছেন: “যে মতের প্রতি আমার ঝোঁক তা হলো—ফাতিমা বাতুলই সকল নারীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কারণ তিনি ছিলেন নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অংশ, তাঁর পবিত্র সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।” আলুসীর মতে, এই বিশেষ সম্পর্কই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের মূল ভিত্তি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই মর্যাদা এমনকি মারিয়াম (আ.)-এর ক্ষেত্রেও অতিক্রমী। তাঁর ভাষায়, যদি কেউ মনে করেন যে মারিয়াম (আ.) নবী ছিলেন, তবুও ফাতিমা (সা.)-এর মর্যাদা তার চেয়েও উঁচু—কারণ তাঁর মধ্যে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সত্তার অংশ হওয়ার অনন্য বৈশিষ্ট্য।
আলুসী তাঁর বর্ণনায় আরও বলেন: “তিনি এমন এক তারকা, যার নাগালে মানুষের হাত পৌঁছাতে পারে না।” তাঁর মতে, হযরত ফাতিমা (সা.)-এর মর্যাদা এত উচ্চ যে তা সাধারণ তুলনার ঊর্ধ্বে।
তাফসিরকারের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিশেষ মর্যাদাগত অবস্থান হযরত আয়েশা-এর তুলনায়ও ফাতিমা (সা.)-কে উচ্চ স্থানে প্রতিফলিত করে। যদিও হযরত আয়েশা ছিলেন নবীজির স্ত্রী এবং সুন্নি মুসলিমদের নিকট অত্যন্ত সম্মানিত, আলুসীর মতে, ফাতিমা (সা.)-এর মর্যাদা আরও বিশেষ ও অনন্য।
ধর্মতাত্ত্বিকদের মতে, এ ধরনের মতামত ইসলামী ঐতিহ্যের বিভিন্ন ধারায় নারীদের মর্যাদা ও ভূমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।
রিপোর্ট: হাসান রেজা
আপনার কমেন্ট